দারিদ্র বিমোচনে ছাগল পালনঃ
- বাংলাদেশে ছাগল পালন লাভজনক, বিশেষ করে ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল ।
- এদের বাচ্চা উৎপাদন ক্ষমতা অধিক এবং দেশীয় জলবায়ুতে বিশেষভাবে উৎপাদন উপযোগী।
- এ দেশে প্রাপ্ত ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল দ্রæত প্রজননশীল। প্রতি বছর এরা দু’বার করে বাচ্চা দেয় এবং প্রতিবারে সাধারণত দু’টি করে বাচ্চা দেয়।
- দ্রুত প্রজননশীলতা, উন্নত মাংশ ও চামড়ার জন্য ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত।
- আমাদের দেশে ছাগল পালনে নানাবিধ সুবিধা রয়েছে। ছাগলের জন্য বড় পশুর মত চারণভ‚মির প্রয়োজন হয় না। খেতের আইলে, রাস্তার ধারে বাড়ির আশ-পাশের জায়গায় ঘাস, লতা, গুল্ম খেয়ে এরা জীবন ধারণ করতে পারে। ছাগলের জন্য গরু-মহিষের মত অধিক খাদ্য, উন্নত বাস¯’ান বা বিশেষ যতেড়বর প্রয়োজন হয় না।
- গবাদিপ্রাণির অন্যান্য জাতের তুলনায় ছাগলের রোগবালাই কম।
- ছাগলের দুধ সহজে হজম হয় এবং যক্ষা রোগের জীবানু মুক্ত। তা ছাড়া হাঁপানি রোগের ঔষধ হিসাবে ছাগলের দুধ বিবেচিত হয়।
- ছোট প্রাণি বলে ছাগলের দাম কম। ফলে অল্প পুঁজিতে অল্প জায়গায় কয়েকটি ছাগল পালন করা যায়।
- স্কুল কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা পড়াশুনার ফাঁকে ফাঁকে দু’চারটি ছাগল পালন করে পড়াশুনার খরচ চালাতে পারে।
- ছাগল পালন করে একজন ভূমিহীন বা প্রান্তিক খামারী সহজেই বাড়তি আয় করে দারিদ্র বিমোচনে অবদান রাখতে পারেন।
- প্রাণি চিকিৎসায় হারবাল ঔষধ হিসেবে হলুদের অনন্য ব্যবহার
- ভেষজ ঔষধ হিসেবে ইউক্যালিপটাস পাতার উপকারিতা
- ইউক্যালিপটাস তেলের উপকারিতা
- তরমুজের পুষ্টি উপকারিতা
- শুধু মাংস উৎপাদন করলেই হবে না; মাংসের কোয়ালিটির উপরে নজর দিতে হবে
উন্নত জাতের ছাগল নির্বাচন
উন্নত জাতের ছাগল এর সংক্ষিপ্ত পরিচিতিঃ
- ১. ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল
- ২. যমুনাপারী জাতের ছাগল
- ৩. বিটাল জাতের ছাগল
১. ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগলঃ
- ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল বাংলাদেশের প্রধান জাতের ছাগল ।
- এ জাতের ছাগলকে কালো ছাগল বলা হলেও এদের গায়ের রং কালো ছাড়াও বাদামী, সাদা ও সাদা কালো মিশ্রিত হতে দেখা যায়।
- এদের কান সোজা ও খাড়া কিšদ শিং বাঁকানো থাকে। এরা আকারে তুলনামূলক ছোট হয়।
- এ জাতের ছাগল দ্রæত প্রজননশীল।
- স্ত্রী ছাগল ৯-১০ মাস বয়সে প্রথম প্রজননক্ষম ও ১৪-১৫ মাস বয়সে প্রথম বাচচা প্রসব করে। সাধারণত প্রথম বারে ১টি এবং পরবর্তি প্রজননে ২-৩টি করে বাচ্চা দিয়ে থাকে।
- এ জাতের ছাগল বছরে দু’বার গর্ভধারণ ও প্রতিবারে ১-২টি বাচ্চা প্রসব করে। তবে কখনও কখনও ৩-৪টি পর্যন্ত বাচ্চা প্রসব করতে দেখা যায়।
- এ জাতের ছাগী দুধ দেয় খুব কম। এমকি দুই এর অধিক বাচ্চা হলে দুধের ঘাটতি হয়। তবে উপযুক্ত খাদ্য ব্যব¯’াপনায় অনেক ছাগী দৈনিক ১-১.৫ লিটার দুধ দেয় এবং দুধ প্রদান কাল ২-৩ মাস।
- পূর্ণবয়স্ক একটি স্ত্রী ছাগলের ওজন ১৫-২০ কেজি এবং পূর্ণবয়স্ক একটি পুরুষ ছাগলের ওজন ২৫-৩০ কেজি হয়ে থাকে।
- এ জাতের ছাগলের মাংস উন্নত , অত্যন্ত সুস্বাধু ও জনপ্রিয় মাংশ। সাধারণত ২০ কেজি ওজনের খাসী থেকে কমপক্ষে ১১ কেজি মাংশ পাওয়া যায়।
- ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগলের চামড়ার মান অনেক উন্নত , তাই বিশ্বব্যাপী এর চামড়ার চাহিদাও বেশী।
- ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল অত্যাধিক কষ্টসহিষ্ণু।
২. যমুনাপারী জাতের ছাগলঃ
- এ জাতের ছাগলের উৎপত্তি মূলত ভারত। তবে বাংলাদেশের পশ্চিমাঞ্চলে এ জাতের ছাগল কিছু কিছু পালন করা হয়ে থাকে। আমাদের দেশে এ জাতের ছাগল রাম ছাগল নামে পরিচিত।
- এদের শারীরিক রং কালো, বাদামী, সাদা বা বিভিনড়ব রঙের সংমিশ্রণে হয়ে থাকে।
- যমুনাপারী জাতের ছাগলের পা খুব লম্বা এবং কান লম্বা ও ঝুলানো থাকে।
- শরীরের লোম লম্বা হয়। পিছনের পায়ের লোম বেশী লম্বা থাকে।
- এরা আকারে বেশ বড় হয়।
- পূর্ণবয়স্ক একটি পুরুষ ছাগলের ওজন ৭০-৭৫ কেজি এবং পূর্ণবয়স্ক একটি স্ত্রী ছাগলের ওজন ৫০-৬০ কেজি পর্যন্ত হয়ে থাকে।
- তবে এদের চামড়া এবং মাংস তত উন্নত নয়।
- স্ত্রী ছাগল বছরে একটি করে বাচ্চা দেয়।
- এদের দুধ উৎপাদন বেশি। একটি ছাগী প্রতিদিন ২-৩ লিটার পর্যন্ত দুধ দিতে পারে।
- এ জাতের ছাগল আবদ্ধ অব¯’ায় বা খামারে পালনের জন্য উপযোগী।
৩. বিটল জাতের ছাগলঃ
- জাতের ছাগলের উৎপত্তি পাকিস্তান ও ভারতে। বাংলাদেশের অল্প কিছু এলাকায় ও এ জাতের ছাগল পালন করা হয়ে থাকে।
- এরা কালো, সাদা, বাদামী বা কালো ও বাদামীর মধ্যে সাদা ফুটফুটে হয়ে থাকে।
- এদের কান বড় ও ঝুলানো অনেকটা যমুনাপারী ছাগলের মত।
- এদের শিং পিছনের দিকে বাঁকানো থাকে।
- এরা আকারে বেশ বড় হয় এবং পা লম্বা হয়।
- একটি পূর্ণবয়স্ক পুরুষ ছাগলের ওজন ৬০-৭০ কেজি এবং একটি পূর্ণবয়স্ক স্ত্রী ছাগলের ওজন ৪০-৫০ কেজি হয়ে থাকে।
- এদের দুধ উৎপাদন ছাগলের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। একটি ছাগী দৈনিক ৪-৫ লিটার দুধ দেয়।
ছাগল পালন সম্পর্কিত আরো বিস্তারিত জানতে নিচের ইউটিউব চ্যানেল ও ফেসবুক পেজে সাবস্ক্রাইব করে রাখুন।অনেক তথ্য পাবেনঃ
আমি ডাঃ শ্রাবণ হাসান সজল
একজন ভেটেরিনারিয়ান,তাই ডিজিটাল বাংলাদেশের প্রাণিসম্পদ সেক্টরের উন্নয়নে ভূমিকা রাখার লক্ষ্যে দেশের শিক্ষিত সমাজকে লাইভস্টক সেক্টরে কাজ করতে উৎসাহিত করার প্রচেষ্টা করছি।সেই লক্ষ্যে ফেসবুক,ইউটিউব এবং ব্লগ সাইটের মাধ্যমে ফার্মারদের নানাবিধ পরামর্শ প্রদান করতে চেষ্টা করি।ইতোমধ্যে আমার ইউটিউব চ্যানেল ১ লক্ষাধিক সাবস্ক্রাইব অর্জন করায় ইউটিউব থেকে চ্যানেলটি ভেরিফাইড হয়েছে।
Dear Honorable and valued live stock expert Assalamu alikum. many thanks for your value able information for Goat farmer. i want to setup a Goat farm as small scale. i looking for your kind valued advise to how can i start this business. and where i can get best female Goat with cheepest price. please give me your good advise for me.
Thanks and B.Regards
Hasan
Welcome