Pigeon Crop Milk Replacer Recipe:
(#আর্টিফিশিয়ালভাবেক্রপমিল্কতৈরির_পদ্ধতিঃ)
অনেক সময় দেখা যায় কবুতর এর ডিম ফুটে বাচ্চা বের হবার পরে বাবা মা বাচ্চাকে খাওয়ায় না। কিংবা কোন কারণে বাচ্চা খাবার পায় না, বাবা মা মারা যেতে পারে, বা একটা বাচ্চা ছোট আরেকটা বাচ্চা বড় ইত্যাদি। এরকম নানান রকম সমস্যার কারণে আমাদের শখের কবুতর এর বাচ্চাকে আমরা #ক্রপ_মিল্কের অভাবে বাঁচাতে পারি না!
তাই আপনাদের সবার জন্য আজ আমরা জানব আর্টিফিশিয়াল ভাবে ক্রপ মিল্ক তৈরির রেসিপি
বলবো, তবে তার আগে জেনে নেই এই ক্রপ মিল্ক কি?
ক্রপ মিল্ক হচ্ছে এমন একটা উপাদান যা কবুতর এর ডিম ফুটে বাচ্চা বের হবার ২-৩ দিন পূর্বে তার ক্রপের মধ্যে তৈরি হয়। কবুতর এর ক্রপের মধ্যে এক ধরনের লাইনিং থাকে যা থেকে কিছু পদার্থ সেক্রেশন হয়। এই পদার্থগুলোকেই ক্রপ মিল্ক বলে। একে #পিজিয়ন_মিল্ক ও বলা হয়ে থাকে।
কবুতর তার বাচ্চাকে জন্মের পর হতে প্রায় ১ সপ্তাহ বয়ষ পর্যন্ত এই ক্রপ মিল্ক বা পিজিয়ন_মিল্ক খাওয়ায়।
এই ক্রপ মিল্ক কবুতর এর বাচ্চার জন্য একটি অতিব অপরিহার্য উপাদান যা ছাড়া বাচ্চার জীবন বাঁচানো সম্ভব না!
কিন্তু আমরা অনেকেই জানি না এই ক্রপ মিল্ক কিভাবে তৈরি করতে হয়। যার খেসারত হিসেবে আমাদের সখের কবুতরের বাচ্চার প্রাণ হারায়!
আর তাই আজকে আমরা জানব কিভাবে আর্টিফিশিয়াল ভাবে এই ক্রপ মিল্ক তৈরি করতে পারবেন।
উপকরণঃ
১) 1 jar (70 gm) মুরগির বাচ্চার খাবার (লেয়ার গ্রোয়ার)
২) খুব ভালভাবে সেদ্ধ করা মুরগীর ডিমের কুসুম (১৫ গ্রাম)
৩) এক চা চামচ ইয়োগার্ট (Yoghurt) (এটা যেকোন মুদী দোকানেই পাওয়া যায়। না পেলে দই ব্যবহার করা যায়)
৪) ১/৪ চা চামচ ভুট্টার তেল। (Corn Oil) (এটা না পেলে Rice husk oil হলেও চলবে)
৫) E cap (Vitamin E) ক্যাপসুল এর ভেতরের তেল এক ফোঁটা। তবে এটা ডাইরেক্ট দেয়া যাবেনা। এটা কিভাবে দিতে হবে তা নিচে দেয়া হল।
( একটা ক্যাপসুল এর মুখ কেটে সেখান থেকে ১ ফোঁটা তেল নিতে হবে আর সাথে ১০ ফোঁটা Corn oil মিক্স করে নিতে হবে। সেখান থেকে ১ ফোঁটা তেল যোগ করবেন। ডাইরেক্ট এই #ই_ক্যাপ দেওয়া যাবে না। এভাবে পাতলা করে নিতে হবে)
৬) ১ ফোঁটা Calplex (লিকুইড)
(এটা না থাকলে একটা Calbo D ট্যাবলেট গুঁড়ো করে সেখান থেকে খুব ই অল্প পরিমাণ এ ট্যাবলেট এর গুঁড়ো নিতে হবে)
৭) Vit. B complex capsule
(ক্যাপসুল খুলে ওর ভেতরের পাউডার থেকে খুব অল্প পরিমাণ পাউডার নিতে হবে)
৮) Cevit tab. (Vitamin C)
(২ টা ট্যাবলেট গুঁড়ো করে সেখান থেকে খুব অল্প পরিমাণ এ একটু পাউডার নিতে হবে)
(এটার বদলে লেবুর রশ ও নেয়া যায় ২-৩ ফোঁটা)
৯) মধু
১.৫ মিলি
১০) আদা ছেঁচে তার রশ
৪-৫ ফোঁটা
১১) পেঁপে/ আনারশ যেকোন ১ টা
১/৮ কাপ
(৯ থেকে ১১ নং এর তিনটি না থাকলে এই তিনটির যেকোন একটা ব্যবহার করলেই হবে)
বানানোর_পদ্ধতিঃ
সকল উপাদান একত্রে মিক্স করে ব্লেন্ডার মেশিনে ব্লেন্ড করে নিতে হবে।
এবার এই মিশ্রণ টি ৩০ মিনিট রুমের সাধারণ তাপমাত্রাতেই রেখে দিতে হবে।
এবার হালকা গরম করে নিয়ে (সহ্য করা যায় এমন) মিশ্রণটি একটি সিরিঞ্জে নিয়ে খাওয়াতে হবে। সিরিঞ্জের মাথায় চিকন রাবারের পাইপ লাগিয়ে নিতে হবে।
কবুতর এর বাচ্চাকে জোর করে একেবারে ওনেক বেশি পরিমাণ এ খাওয়ানো যাবে না। একটু সময় অন্তর অন্তর অল্প করে করে খাওয়াতে হবে।
৬-৭ দিন বয়স হলে এই খাবারের সাথে আস্তে আস্তে হালকা অন্য খাবার মিশিয়ে দিতে থাকবেন।
(সংগৃহীত)
আমি ডাঃ শ্রাবণ হাসান সজল
একজন ভেটেরিনারিয়ান,তাই ডিজিটাল বাংলাদেশের প্রাণিসম্পদ সেক্টরের উন্নয়নে ভূমিকা রাখার লক্ষ্যে দেশের শিক্ষিত সমাজকে লাইভস্টক সেক্টরে কাজ করতে উৎসাহিত করার প্রচেষ্টা করছি।সেই লক্ষ্যে ফেসবুক,ইউটিউব এবং ব্লগ সাইটের মাধ্যমে ফার্মারদের নানাবিধ পরামর্শ প্রদান করতে চেষ্টা করি।ইতোমধ্যে আমার ইউটিউব চ্যানেল ১ লক্ষাধিক সাবস্ক্রাইব অর্জন করায় ইউটিউব থেকে চ্যানেলটি ভেরিফাইড হয়েছে।