খরগোশের মাংস গ্রহণের ধর্মীয় ব্যাখ্যাঃ
খরগোশের মাংস মুসলমানদের জন্য হালাল। পবিত্র কুরআন পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে, খরগোশের মাংস খাওয়া মুসলমানদের জন্য যায়েজ।
সুরা মা’য়েদাহ্তে আল্লাহ বলেছেন, তোমাদের জন্য হারাম (অবৈধ) করা হয়েছে মরা পশু, রক্ত ও শুকরের মাংস। আল্লাহ ভিন্ন অন্যের নামে উৎসর্গীকৃত পশু, গলাচেপে মারা জন্তু, প্রহারে মৃত জন্তু, পতনে মৃত জন্তু, শৃংগাঘাতে মৃত জন্তু এবং হিংস্র পশুতে খাওয়া জন্তু হারাম। যবেহ দ্বারা পবিত্র করা ছাড়া মূর্তি পূজার বেদীর উপর বলী দেয়া পশুও হারাম (তৃতীয় রুকু সুরা মা’ য়েদাহ্)। বিখ্যাত ফিকাহ গ্রন্থ “হিদ্রায়া”তে উল্লেখ করা হয়েছে, খরগোশের গোস্ত খাওয়াতে কোন অসুবিধা নেই। নবী করিম ছালালাহু আলাইহি ওয়াসালাম তাঁর সামনে উপস্থাপিত খরগোশের ভুনা গোস্ত খেয়েছেন এবং তা খাওয়ার জন্য সাহাবায়ে কেরামকেও নির্দেশ দিয়েছেন। আর খরগোশ মুর্দাখোর ও হিংস্র জন্তুর অন্তর্ভুক্ত নয় (দুররুল মুখতার)। বিড়াল ও বকরীর ন্যায় কান বিশিষ্ট দুই প্রকার খরগোশের গোস্ত খাওয়া বৈধ (তালীফায়ে রাশিদিয়া-পৃষ্ঠা-৪৫০)।
নখ দিয়ে চিরে ফেড়ে খায় এ ধরনের জন্তু খাওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। স্বভাবতই এসব জন্তুর পায়ে লম্বা নখ দেখা যায় এবং খাওয়ার কাজে এরা নখযুক্ত পা ব্যবহার করে থাকে। খরগোশ এ জাতীয় জন্তুর অন্তর্ভুক্ত নয়। এরা তৃণভোজী প্রাণী। বেঁচে থাকার প্রয়োজনে এরা গাছে ওঠে এবং মাটি খোঁড়ে। তাই খরগোশের মাংস খাওয়ায় কোনো বাধাবিপত্তিও নেই।
আমি ডাঃ শ্রাবণ হাসান সজল
একজন ভেটেরিনারিয়ান,তাই ডিজিটাল বাংলাদেশের প্রাণিসম্পদ সেক্টরের উন্নয়নে ভূমিকা রাখার লক্ষ্যে দেশের শিক্ষিত সমাজকে লাইভস্টক সেক্টরে কাজ করতে উৎসাহিত করার প্রচেষ্টা করছি।সেই লক্ষ্যে ফেসবুক,ইউটিউব এবং ব্লগ সাইটের মাধ্যমে ফার্মারদের নানাবিধ পরামর্শ প্রদান করতে চেষ্টা করি।ইতোমধ্যে আমার ইউটিউব চ্যানেল ১ লক্ষাধিক সাবস্ক্রাইব অর্জন করায় ইউটিউব থেকে চ্যানেলটি ভেরিফাইড হয়েছে।