অন্য নামঃ
ফ্যাসওলিয়াসিস (Fascioliasis), কলিজা চাটুয়া, কলিজা পঁচা রোগ।
ফ্যাসিওলা প্রজাতির (Fasciola spp) পাতা কৃমি দ্বারা সৃষ্ট পশুর রোগকে ফ্যাসিওলিয়াসিস (Fascioliasis) বা কলিজা কৃমি রোগ বলে।
কারণঃ
বাংলাদেশে ফ্যাসিওলা জাইগানটিকা নামক পাতা কৃমি দ্বারা রোহন্থক পশু বিশেষ করে গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়া প্রভৃতি প্রাণী কলিজা কৃমি দ্বারা আক্রান্ত হয়।
লক্ষণঃ
- তীব্র প্রকৃতির রোগে যকৃত প্রদাহ ও রক্ত ক্ষরনের কারণে উপসর্গ প্রকাশের পূর্বেই পশুর হঠাৎ মৃত্যু ঘটে।
- যকৃতে কৃমির উপস্থিতির কারণে রক্তে প্রোটিনের অভাব ঘটে। ফলে বিশেষ করে চোয়ালের নীচে চামড়ায় ও বুকের বেড় (Brisket) এলাকায় জলপূর্ণ স্ফীতি দেখা যায়। এই অবস্থাকে ‘‘Bottle Jaw’’ বলে।
- আক্রান্ত প্রাণীর রক্তস্বল্পতা, লোহার ঘাটতি, লোহিত রক্ত কনিকার অভাব দেখা দেয়।
- আক্রান্ত প্রাণীর পিত্তনালীতে ফাইব্রোসিসের ফলে পিত্তনালীর পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়। এ কারণে বদ হজম ও ডায়রিয়া দেখা দেয়।
- ক্ষুধামন্দা, বিমর্ষতা, দুর্বলতা ও পেটে ব্যথা থাকে। পাতা কৃমি দ্বারা যকৃতে সৃষ্ট ক্ষত ক্লষ্ট্রিডিয়াম নোভাই জীবাণুর অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করে।
- গরুর মল অনুবীক্ষণ যন্ত্রে পরীক্ষা করলে ফেসিওলার ডিম দেখা যায়।
চিকিৎসাঃ
ভেটেরিনারি চিকিৎসকের পরামর্শে নিন্মলিখিত ব্যবস্থাদি গ্রহণ করা যেতে পারেঃ-Triclabendazol
কলিজা কৃমিতে আক্রান্ত পশু রক্তস্বল্পতাজনিত কারণে খুব দুর্বল থাকে। তাই উপরোল্লিখিত ঔষধের পাশাপাশি বি-৫০ ভেট ইনজেকশন প্রয়োগ করলে খুব ভাল ফল পাওয়া যায়।
সহায়ক চিকিৎসাঃ
DB Vitamin (ডিবি ভিটামিন) অথবা Vitamine B-Complex Injetion প্রয়োগ করতে হবে।
আমি ডাঃ শ্রাবণ হাসান সজল
একজন ভেটেরিনারিয়ান,তাই ডিজিটাল বাংলাদেশের প্রাণিসম্পদ সেক্টরের উন্নয়নে ভূমিকা রাখার লক্ষ্যে দেশের শিক্ষিত সমাজকে লাইভস্টক সেক্টরে কাজ করতে উৎসাহিত করার প্রচেষ্টা করছি।সেই লক্ষ্যে ফেসবুক,ইউটিউব এবং ব্লগ সাইটের মাধ্যমে ফার্মারদের নানাবিধ পরামর্শ প্রদান করতে চেষ্টা করি।ইতোমধ্যে আমার ইউটিউব চ্যানেল ১ লক্ষাধিক সাবস্ক্রাইব অর্জন করায় ইউটিউব থেকে চ্যানেলটি ভেরিফাইড হয়েছে।