ইদানিং বোধহয় আমাদের দেশে হাঁস পালনের একটি জোয়ার বইছে। কবুতর, শেয়ারবাজার টার্কি, ছাগল পালন ইত্যাদির পর এখন অনলাইন অফলাইনে, প্রায় সবজায়গাতেই হাঁসের খামার নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। তবে এখানেও শিক্ষিত ও অশিক্ষিত নির্বিশেষে সে একই অবস্থা; অনভিজ্ঞতা। অন্যকে দেখে তাকে কপি করতে গিয়ে এটা করা হচ্ছে যার ভবিষ্যত খুব ভালো দেখছি না। হয়তো এদের ৮০% ঝড়ে পড়ে গিয়ে ২০% টিকে থাকতে পারে।
এর কারন হিসেবে জিজ্ঞাসা করলে আমি আমার পূর্বের লেখাগুলোর ধারাবাহিকতায় বলতে পারি, তা হচ্ছে
১) এ বিষয়ে পর্যাপ্ত পরিমাণে লেখাপড়া ও জ্ঞানের অভাব,
২) প্রশিক্ষণ না থাকা, বাস্তব অভিজ্ঞতার অনুপস্থিতি,
৩) হাঁস পালনের জন্য উপযুক্ত পরিবেশের না থাকা,
৪) উপযুক্ত ও ভালো জাতের বাচ্চা সংগ্ৰহের ব্যর্থতা
৫) এবং প্রয়োজনীয় পুঁজির অভাব।
৬) প্রয়োজনের সময় চিকিৎসা ও ভ্যাকসিন দিতে না পারা,
৭) বাজার ব্যবস্থাপনার দূর্বলতা ইত্যাদি ইত্যাদি।
আজ বিকেলে হাঁটার সময় দেখলাম এ হাঁসগুলো। দেখার পর ওকে জিজ্ঞাসা করলাম এগুলোর বয়স ও সার্ভাইভিং রেট কেমন, তখন সে জানালো হাঁসগুলোর বয়স আড়াই মাস ও ৬৫০ টি কেনার পর এ পর্যন্ত ৫৭০ টির মতো বেঁচে আছে।
এরপর ওনাকে জিজ্ঞাসা করলাম পালনের উদ্দেশ্যে কি, ডিম উৎপাদনের জন্য, না কি মাংস উৎপাদনের জন্য? তখন তিনি বললেন এগুলো ডিম উৎপাদনের জন্য পালন করছেন। এর লোকেশন: বনরুপা হাউজিং, খিলক্ষেত, ঢাকা
গত ৬ বছরে এ পর্যন্ত এই বনরুপাতেই আমি প্রায় ১৫ থেকে ২০ জনকে হাঁস পালনের জন্য উদ্যোগি হতে দেখেছি, কিন্তু শুরু করার ৬-৮ মাস থেকে ২ বছরের মধ্যে তাদের খামার গুলো আর খুঁজে পাইনি। তাদেরকে খামার বন্ধ হওয়ার কারণ জিজ্ঞাসা করার পর ওপরের কারন গুলো খুজে পাওয়া গেছে।
যা হোক কেও যদি কোন বিষয়ে একজন উদ্যোক্তা হতে চান, তাহলে যে বিষয়টি নিয়ে কাজ করতে চান সে বিষয়ের ওপর ওপরে উল্ল্যেখ করা কারন গুলো আমলে নিয়ে আগাতে থাকুন; ইনশা আল্লাহ তাহলে হয়তো সফলতা আপনার হাতে আসতে সময় নেবে না।
আল্লাহ্ আমাদের সবাইকে হেদায়েত ও রহমত দান করুন আমীন।
লেখকঃ মোঃ তায়েফুর রহমান গালিব।
আমি ডাঃ শ্রাবণ হাসান সজল
একজন ভেটেরিনারিয়ান,তাই ডিজিটাল বাংলাদেশের প্রাণিসম্পদ সেক্টরের উন্নয়নে ভূমিকা রাখার লক্ষ্যে দেশের শিক্ষিত সমাজকে লাইভস্টক সেক্টরে কাজ করতে উৎসাহিত করার প্রচেষ্টা করছি।সেই লক্ষ্যে ফেসবুক,ইউটিউব এবং ব্লগ সাইটের মাধ্যমে ফার্মারদের নানাবিধ পরামর্শ প্রদান করতে চেষ্টা করি।ইতোমধ্যে আমার ইউটিউব চ্যানেল ১ লক্ষাধিক সাবস্ক্রাইব অর্জন করায় ইউটিউব থেকে চ্যানেলটি ভেরিফাইড হয়েছে।