যারা হাঁস খামার গড়তে চান তারা এই লেখাটা পড়ুন।
হাঁস খামারে লাভবান হতে গেলে কয়েকটা বিষয় টার্গেট নিয়ে খামার গড়তে হবে
১) অপ্রচলিত খাদ্য যেমন শামুক, ঝিনুক, মাছ-মুরগির উপজাত, শ্যাওলা ইত্যাদি খাবার রেশনে ব্যবহার করতে হবে অথবা ঘের-খাল-বিল হাওড়ে হাঁসকে চড়ানোর সুযোগ দিতে হবে যাতে ৪০% খাবার সে বাইরে খেয়ে আসে।
২) মানুষকে কচি হাঁস খাওয়াতে অভ্যস্ত করতে হবে। ২. ৫ -৩ মাসের হাসের মাংস আমার খাওয়া সবচেয়ে টেস্টি মাংস ছিলো, হাড়গুলো চিবিয়ে খাওয়া যায়। সাবকিউটেনিয়াস ফ্যাটও ছিলো। এটার স্বাদ আমি কখনো ভুলবো না। অল্প দিন পালা লাগে বিধায় এই হাঁসের পেছনে খাদ্য খরচ কম লাগে।
৩) মার্কেটিং চ্যানেল আগে থেকেই গোছানো থাকতে হবে। এলাকার বাজারে সর্বদা হাঁস বিক্রি হয় এমন দোকান ঠিক করতে হবে। সাপ্তাহিক বাজারের চিন্তা বাদ দিয়ে মাসের প্রতিদিন হাঁসকে কাস্টমারের কাছে এভাইলেবল করেন। উপজেলার হোটেলে হাঁস দিয়ে আসুন, বলে দেন হাঁসের মাংসের কালোভুনা আইটেম রাখতে। সাথে আটা বা চালের রুটি রাখতে বলবেন। মানুষ অবশ্যই এইগুলো খাবে।
তাছাড়া আশেপাশের সচ্ছল মানুষকে কিছু কচি হাঁস অল্প দামে খেতে দেন। এরা অবশ্যই পছন্দ করবে এবং আপনি নিয়মিত গ্রাহক পাবেন।
অনলাইনেও মার্কেটিং চালাতে হবে যাতে করে উপজেলার দুরের এলাকা থেকেও মানুষ হাঁস নিতে আসে। এতে করে ব্রয়লারের মত সিন্ডিকেট লাভের বখরা নিতে পারবেনা।
৪) যাদের বাইরের খাবারের সুযোগ নাই তাদেরকে অবশ্যই রেশন বানিয়ে খাওয়াতে হবে। এক্ষেত্রে আমাদের মত কোন এনিম্যাল নিউট্রিশনিস্ট দ্বারা ব্যালেন্স রেশন বানাবার ফর্মুলা নিতে হবে যাতে করে খাবার খরচ ৩০ টাকার মাঝে আনা যায়। আমাদের কাছে কয়েকপ্রকার রেশনের ফর্মুলা আছে। এইগুলা নিয়া আপনাদেরই গবেষনা করে করে খাদ্য খরচ রিজনাবেল করতে হবে।
৫) মাংসের জন্য টার্গেট নিলে অবশ্যই হাঁসা দিয়েই শুরু করতে হবে। যেহেতু এদের গ্রোথ রেট বেশি।
৬) ৩টা ভ্যাক্সিন দিতেই হবে! হাঁস ৬০ দিন পালেন বা ৯০ দিন পালেন, ভ্যাক্সিন আগেই কিনে রাখতে হবে।
আজকের লেখায় শুধু মাংসের জন্য বললাম, সামনে লেয়ার হাঁস নিয়ে লেখবো ইনশাআল্লাহ!
চলবেঃ
Fayjul Islam Manik
আমি ডাঃ শ্রাবণ হাসান সজল
একজন ভেটেরিনারিয়ান,তাই ডিজিটাল বাংলাদেশের প্রাণিসম্পদ সেক্টরের উন্নয়নে ভূমিকা রাখার লক্ষ্যে দেশের শিক্ষিত সমাজকে লাইভস্টক সেক্টরে কাজ করতে উৎসাহিত করার প্রচেষ্টা করছি।সেই লক্ষ্যে ফেসবুক,ইউটিউব এবং ব্লগ সাইটের মাধ্যমে ফার্মারদের নানাবিধ পরামর্শ প্রদান করতে চেষ্টা করি।ইতোমধ্যে আমার ইউটিউব চ্যানেল ১ লক্ষাধিক সাবস্ক্রাইব অর্জন করায় ইউটিউব থেকে চ্যানেলটি ভেরিফাইড হয়েছে।