সজিনা গাছ ভারত থেকে উতপত্তি হয়েছিল এবং মানুষের দ্বারা পৃথিবীর নিরক্ষীয় দেশগুলিতে ছড়িয়ে পড়েছিল। প্রাচীন মিশর, গ্রীস এবং রোমান সাম্রাজ্যে সজিনা খুবই মূল্যবান ছিল গাছটির অনন্য বৈশিষ্টের কারণে।
ভারতের ৫০০০ বছরের পুরানো বৈদিক নথিতে (বেদ ও উপনিষদে) সর্বপ্রথম সজিনা এবং এর রোগ নিরাময়ের ক্ষমতা সম্পর্কে লিখিত হয়। সজিনার অনন্য বৈশিষ্ট্য একে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ করে তুলেছিল এবং আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে ভারতীয় ঐতিহ্যবাহী ঔষধ হিসেবে জায়গা করে নিয়েছিল। ভারতীয় আয়ুর্বেদ শাস্ত্রমতে সজিনা ৩০০ ধরনের রোগের নিরাময় হিসেবে কাজ করে। এমনকি আধুনিক চিকিৎসা শাস্ত্রও ধীরে হলেও সজিনাকে স্বীকৃতি দিতে শুরু করেছে।
৬ষ্ঠ মিশরীয় রাজবংশের হায়ারোগ্লিফিকস (প্রায় ২৪৭৫ বি.সি.) থেকে পাওয়া যায় উত্তর এশিয়া থেকে সজিনার তেল আমদানির তথ্য প্রমান, যা তখন বাগ বা বাগেত (Egyptian for ben oil) নামে উল্লেখিত ছিল। মিশরীয়রা এই উচ্চমূল্যের প্রিমিয়াম তেলকে রান্নার উপকরণ হিসাবে, পারফিউম (Kyphi) হিসাবে এবং ঔষধ হিসেবেও ব্যাবহার করেছে। এছাড়াও প্রাচীন গ্রিস এবং রোমান সাম্রাজ্যের লোকেরা এই তেলের বহুমূখী ব্যাবহারের কথা জানতো এবং এও জানতো সজিনা বীজ থেকে এই তেল প্রস্ততকৃত। এই তেল বিভিন্ন প্রসাধনীতে যেমন ওয়েন্টমেন্ট এবং ক্রিম (কোল্ড ক্রিম ও সুগন্ধি ক্রিম) তৈরিতে প্রয়োগ করা হয়েছে।
ঔপনিবেশিক যুগে সজিনার ব্যাপক প্রসার ঘটেছে, কারণ ব্রিটিশ শাসকরা ভারত থেকে প্রজাতির গুল্ম ও উদ্ভিদ পৃথিবীর অন্যান্য অঞ্চলে নিয়ে গিয়েছিল। বৃটিশরা সজিনার শিকড়ের তীব্র গন্ধের কারণে এর horseradish tree নাম দিয়েছিল।
ভৌগলিকভাবে প্রসারিত হওয়ার ফলে এই Moringaceae উদ্ভিদ পরিবারের গাছটি নতুন বাসস্থান এবং পরিবেশের সাথে ভালোমতো খাপ খাইয়ে নিয়েছে। এটি ১৩ টি প্রজাতিতে বিকশিত হয়েছে, আবার নিশ্চিতভাবে বলা যায় না যে সমস্ত প্রজাতি ইতিমধ্যে আবিষ্কার করা হয়েছে। মজার বিষয় হল, বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষ যার যার মতো করেই (নিজস্বভাবেই) এই যাদুকরি গাছকে খুঁজে বের করেছে, এর গুনাগুন সম্পর্কে জেনেছে।
শেষকথা হিসেবে বলা যায় আজ সারা বিশ্বের মানুষই সজিনার গুনকির্তন করছে।
Rajib Raju ভাই এর টাইমলাইন থেকে নেয়া
আমি ডাঃ শ্রাবণ হাসান সজল
একজন ভেটেরিনারিয়ান,তাই ডিজিটাল বাংলাদেশের প্রাণিসম্পদ সেক্টরের উন্নয়নে ভূমিকা রাখার লক্ষ্যে দেশের শিক্ষিত সমাজকে লাইভস্টক সেক্টরে কাজ করতে উৎসাহিত করার প্রচেষ্টা করছি।সেই লক্ষ্যে ফেসবুক,ইউটিউব এবং ব্লগ সাইটের মাধ্যমে ফার্মারদের নানাবিধ পরামর্শ প্রদান করতে চেষ্টা করি।ইতোমধ্যে আমার ইউটিউব চ্যানেল ১ লক্ষাধিক সাবস্ক্রাইব অর্জন করায় ইউটিউব থেকে চ্যানেলটি ভেরিফাইড হয়েছে।