হার্বাল মেডিসিন হিসেবে হলুদ:-
হলুদ আমাদের উপমহাদেশের একটি জনপ্রিয় মসলা। খাবারের স্বাদ বৃদ্ধিতে এর ব্যবহার অনেক পুরোনো।
শুধু মানুষের খাবারে নয় পোল্ট্রির খাবার হিসেবেও এর অনেক কার্যকারীতা রয়েছে। আপনাদের অনেকেই হয়ত এগুলো জানেন আগে থেকেই বাকিদের জন্য আজকের আলোচনা।
মূল উপাদান:- কারকিমিনওয়েডস ( Curcuminoids known as curcumin)
ব্যবহার:-
১। হলুদের একটি বড় গুণ হল এটি প্রদাহ দূর করে। এর এন্টি ইনফ্লামেটরী প্রভাবের কারনে এটি মুরগীর পায়ের গোড়ালী ফুলে গেলে ব্যাথানাশক এবং আর্থ্রাইটিসের চিকাৎসায় ব্যবহারে ভাল ফল পাওয়া যায়।
২। রক্তপ্রবাহন্ত্রের রোগে এবং ক্যানসার (মারেক’স এবং লিউকোসিস) এ সাহায্য করে।
৩। হলুদ ব্রয়লারের খাদ্যনলীর কার্যক্রম বাড়িয়ে দেয় এর ফলে এফ সি আর ভাল আসে।
৪। এটা মুরগীর লিভার টনিক হিসেবে কাজ করে।
৫। এটা চোখ, ব্রেইন এবং শ্বাসতন্ত্র ভাল রাখতে সাহায্য করে তাই শীতকালে হালকা ঠান্ডায় ব্যবহার করা যেতে পারে।
৬। রক্ত আমাশয় প্রতিরোধে ভাল কাজ করে।
৭। টক্সিন কমাতে সাহায্য করে।
৮। কোথাও কেটে গেলে সেখানে লাগিয়ে দিলে ভাল ফল পাওয়া যায়।
ব্যবহারবিধি :- ১ গ্রাম গুড়া হলুদ এক কেজি খাদ্যের সাথে। পানিতে দেয়া যায় তবে নিচে কিছু হলুদ পড়ে থাকে। যেকোন বয়সে খাওয়ানো যাবে।
Credit: Dr. Shuvo Datta
আমি ডাঃ শ্রাবণ হাসান সজল
একজন ভেটেরিনারিয়ান,তাই ডিজিটাল বাংলাদেশের প্রাণিসম্পদ সেক্টরের উন্নয়নে ভূমিকা রাখার লক্ষ্যে দেশের শিক্ষিত সমাজকে লাইভস্টক সেক্টরে কাজ করতে উৎসাহিত করার প্রচেষ্টা করছি।সেই লক্ষ্যে ফেসবুক,ইউটিউব এবং ব্লগ সাইটের মাধ্যমে ফার্মারদের নানাবিধ পরামর্শ প্রদান করতে চেষ্টা করি।ইতোমধ্যে আমার ইউটিউব চ্যানেল ১ লক্ষাধিক সাবস্ক্রাইব অর্জন করায় ইউটিউব থেকে চ্যানেলটি ভেরিফাইড হয়েছে।