ইদানীং যেভাবে গরু মোটাতাজা করণ বা দুগ্ধ উৎপাদন খামার গড়ে উঠছে তাতে এসব খামারে প্রাথমিক পর্যায়ের গরুর চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলছে। যেমন মোটাতাজা করণের জন্য ষাঁড় বাছুর যেগুলির বয়স ৮-১৪ মাস এবং দুগ্ধ উৎপাদনের জন্য গর্ভবতী বক্নার চাহিদা বিভিন্ন খামার গুলিতে বেড়েই চলছে ক্রমান্বয়ে। খামার গুলি সাধারণত সীমান্ত পার হয়ে আসা গরুগুলির উপর এই চাহিদা মেটাতে অনেকটাই নির্ভর করে অথবা উচ্চমূল্য দিয়ে বিভিন্ন হাট বা ব্যাপারীদের কাছ থেকে এই গরুগুলি সংগ্রহ করে থাকেন। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় যথেষ্ট মূল্য দিয়ে ক্রয় করেও গরুগুলি মান সম্মত হয় না! এর ফলে উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ার কারণে খামারীরা দুধ বা মাংস বিক্রি করে তেমন লাভবান হতে পারেন না। এই গরুগুলি সরবরাহ করার নিমিত্তেই বাছুর উৎপাদনের একটি খামার মাধ্যমের প্রচলন অনায়াসেই করা যায় কিন্তু!
দেশী বা সংকর জাতের গাভীতে মাংস উৎপাদনের জন্য ব্রাহমা,ফ্রিজিয়ান,শাহীওয়াল ইত্যাদি জাতের সিমেন দিয়ে ষাঁড় বাছুর উৎপাদন করা যেতে পারে যেগুলি ৮ মাস বয়সে সহজেই বিক্রয় উপযোগী হয়ে যায়। আর বক্না বাছুর জন্ম নিলে ঐসব গাভী থেকে সেগুলিকে একই বয়সে অথবা গর্ভধারণ করিয়ে অনায়াসেই বিক্রয় করা যেতে পারে। এই ক্ষেত্রে বাছুর উৎপাদনকারী খামার মালিককে অবশ্যই বাছুর উৎপাদনকারী গাভীর দুধের রেকর্ড,সিমেন প্রদানকারী ষাঁড়ের রেকর্ড,গাভী ও উৎপাদিত বাছুরের ভ্যাক্সিনেশন ও ডিওয়ার্মিং রেকর্ড ইত্যাদি যথাযথ ভাবে সংরক্ষণ করতে হবে এবং বাছুর বিক্রয়ের সময় ক্রেতাকে এসব তথ্য সরবরাহ করতে হবে। আর বাছুর অস্বাভাবিক উচ্চমূল্যে বিক্রয় না করে সীমিত লাভ রেখে বিক্রয় করলে ক্রেতা মহলে ঐ খামারীর সুনাম বৃদ্ধি পাবে যা প্রকারন্তে খামারীকেই শক্তিশালী ভাবে প্রতিষ্ঠিত করবে।
আসলাম ডেইরি ফার্ম
আমি ডাঃ শ্রাবণ হাসান সজল
একজন ভেটেরিনারিয়ান,তাই ডিজিটাল বাংলাদেশের প্রাণিসম্পদ সেক্টরের উন্নয়নে ভূমিকা রাখার লক্ষ্যে দেশের শিক্ষিত সমাজকে লাইভস্টক সেক্টরে কাজ করতে উৎসাহিত করার প্রচেষ্টা করছি।সেই লক্ষ্যে ফেসবুক,ইউটিউব এবং ব্লগ সাইটের মাধ্যমে ফার্মারদের নানাবিধ পরামর্শ প্রদান করতে চেষ্টা করি।ইতোমধ্যে আমার ইউটিউব চ্যানেল ১ লক্ষাধিক সাবস্ক্রাইব অর্জন করায় ইউটিউব থেকে চ্যানেলটি ভেরিফাইড হয়েছে।