ক. চাষ ট্যাংক
খ. এয়ার পাম্প বা অক্সিজেন পাম্প
গ. ড্রাম
ঘ. ফ্লোক পরিমাণ করার জন্য ফ্রোক কোন (ইমহফ কোণ)
ঙ. পি এইচ মিটার
চ. টিডিএস মিটার
ছ. এমোনিয়া টেস্ট কিট
জ. ডিসলভড অক্সিজেন টেস্ট মিটার/কিট
ঝ। প্রোবায়োটিক
৩.ক। চাষ ট্যাংকঃ-
বায়োফ্লক ডিজাইনঃ-
বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাচ চাষে ডিজাইন খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কারণ শত ভাগ প্রযুক্তিগত টেকসই না হলে সফলতা পাওয়া সম্ভব না।তাই বায়োফ্লক নির্মাণ এর প্রাথমিক পর্যায়ে এই বিষয়ে ভালভাবে জানা এবিষয়ে টেকনিক্যাল নলেজ সম্পন্ন টেকনোলজিস্ট এর পরামর্শ গ্রহণ জরুরী।ওয়াটার ম্যানেজমেন্ট এর উপর ভিত্তি করে বায়োফ্লক কোন প্রকার ফিল্টার এর প্রয়োজন হয় না।
৩.ক (১)। বিভিন্ন প্রকারের ট্যাংকঃ-
১. তারপলিন ট্যাংক
২. সিম্যান্ট ট্যাংক
৩. প্লাস্টিক ট্যাংক
৪. পুকুরে তারপলিন
২। সলিড ম্যানেজমেন্ট গুরুত্বপূর্ণঃ-
সলিড ট্রাপিং কি?
সলিড ট্রাপিং হচ্ছে এর তলায় জমে থাকা ময়লা আউট লাইন এর মাধ্যমে বের কওে দেওয়া।চাষ ট্যাংক এবং সলিড সেটেলিং ট্যাংক এবং ভাবে নির্মাণ করতে হবে যাতে পানির ঘূর্ণিয়ন এর ফলে ট্যাংক এর কেন্দ্রে সব ময়লা এসে জমা হয়। এই জন্য ট্যাংক নির্মাণ করার সময় কেন্দ্রের দিকে একটু ঢালু রাখতে হবে।প্রতি ৩-৫ দিন পর অথবা পানির চঐ ও অ্যামোনিয়ার অবস্থাভেদে সলিড ট্রাপিং করতে হবে।
৩.খ। এয়ার বøুয়ার বা অক্সিজেন সিলিন্ডরঃ-
এয়ার বøুয়ার প্রধানত ২ প্রকার হয়-
১। কঢ়ধ (করষড়ঢ়ধংপধষ) এবং প্রেশার কম হয়
২। গঢ়ধ (গবমধঢ়ধংপধষ) প্রেশার বেশি হয়
১ করষড়ঢ়ধংপধষ= ০.০০১ গবমধঢ়ধংপধষ
এয়ার বøুয়ার স্থাপনের সময় খেয়াল রাখতে হবে যে, এয়ার বøুয়ার যেন ট্যাংক থেকে উপরে হয়।
৩.গ। ফ্রোক পরিমাণ করার জন্য ফ্রোক কোন (রসযড়ভভ পড়হব)-
বায়োফ্লক ট্যাংকে ফ্লকের পরিমান নির্ণয় করার জন্য রসযড়ভভ কোনের প্রয়োজন হয়। রসযড়ভভ কোন যে কোন পরিমাপের হতে পারে। বায়োফ্লক ট্যাংকে ফ্লকের পরিমাণ সর্বোচ্চ ৪০ মিলিঃ গ্রাম হলেই হবে। এর কম থাকলেও কোন সমস্যা নেই।কিন্তু বেশি হলে কমিয়ে দিতে হবে।
৩.ঘ। অক্সিজেন মিটারঃ-
ঈানিতে পর্যাপ্ত অক্সিজেন যাকে ডিজলভড অক্সিজেন বলে।পানিতে উঙ (উরংংড়ষাবফ ঙীুমবহ) ৫ মিলিগ্রাম/ লিটার এর বেশি থাকা উচিত।
৩.ঙ। পি এইচ মিটার
মাছ চাষে চঐ এর প্রভাবঃ-
চঐ কি:
এসিড এবং ক্ষারের পরিমাপককে চঐ বলা হয়।
এসিড কি:
টক স্বাদযুক্ত সকল পদার্থ হচ্ছে এসিড যেমন- সাইট্রিক এসিড, ল্যাকটিক এসিড, এসিটিক এসিড, হাইড্রোক্লোরিক এসিড, সালফিউরিক এসিড, কার্বনডাইঅক্সাইড গ্যাস ইত্যাদি।
ক্ষার কি:
যে সব পদার্থ ক্ষার ধর্মী বৈশিষ্ট্য বহন করে তারাই ক্ষার। যেমন- পোড়া চুন (ক্যালসিয়াম অক্সাইড), কৃষি চুন, পাথুরে চুন (ক্যালসিয়াম কার্বোনেট), ডলোমাইট (ক্যালসিয়াম ম্যাগনেসিয়াম কার্বোনেট), ¯েøট লাইম (ক্যালসিয়াম হাইড্রোঅক্সাইড), অ্যামোনিয়া গ্যাস ইত্যাদি।
চঐ স্কেল কি:
চঐ এর কোন একক নেই। তবে এর একটা পরিমাপক স্কেল রয়েছে যার সীমা ১-১৪ এর মধ্যে থাকে। আর এই স্কেল এর মধ্যম মান হচ্ছে ৭, আর এই মানকে প্রশমন বলা হয় অর্থ্যাৎ এই মান এসিড বা ক্ষারীয় কোন বৈশিষ্ট্য বহন করে না। চঐ স্কেল এর মান ৭ এর নিচে হলে তা এসিডিক এবং তার উপরে হলে তা ক্ষারীয়। চাষের জন্য মৃদু ক্ষারীয় অবস্থা ভালো।
মাছ চাষের আদর্শ চঐ : মাছ চাষে পুকুরে পানির চঐ ৭.৫-৮.৫ ভাল।
চঐ এর প্রভাব:
মাছ চাষে পানির চঐ এর গুরুত্বপূর্ন প্রভাব রয়েছে। আপনার পুকুরে এই চঐ মান ঠিক রাখতে পারলে চাষে ভাল ফলাফল পাওয়া যাবে।কারণ চাষে যত সমস্যা হয় তার মধ্যে বেশি সমস্যা হয় এর কারনে। তাই প্রতিদিন একবার চাষ পুকুরের পানির চঐ পরীক্ষা করা উচিৎ। পানির আদর্শ চঐ মাত্রা ধরে রাখতে না পারলে মাছের খাদ্য গ্রহণ বন্ধ হয়ে যায় ফলে মাছের বৃদ্ধি কমে যায়।অক্সিজেন কমে যায়, পুকুরে গ্যাস সৃষ্টি হয়। মাছ সহজে জীবাণু দ্বারা আক্রান্ত হয়, ফলে মাছ মারা গিয়ে চাষের ব্যাপক ক্ষতি হয়।
চঐ কম হলে করনীয়:
১. পানি পরিবর্তন করতে হবে।
২. চুন প্রয়োগ করতে হবে।
চঐ বেশী হলে করনীয়:
১. পানি পরিবর্তন করতে পারেন
২. ২-৩ দিন খাদ্য বন্ধ রাখতে পারেন।
৩. তেঁতুল প্রয়োগ করতে পারেন।
৪. শতকে ১০ সিসি করে মিউটারিক এসিড প্রয়োগ করতে পারেন।
চঐ কমার কারণঃ
১. পুকুরের মাটি এসিডিক হলে অথবা পুকুরের তলায় হাউড্রোজেন গ্যাস জমা হলে।
২. পুকুরে এসিড জাতীয় কোন কিছুর পঁচন হলে।
৩. এসিড বৃষ্টি হলে বা পানিতে কার্বনডাইঅক্সাইড এর পরিমাণ বেড়ে গেলে বা এসিড জাতীয় কোন কিছু প্রয়োগ করা হলে ইত্যাদি।
কেন বৃদ্ধি পায়ঃ
১. অতিরিক্ত খাদ্যের পঁচনের ফলে
২. প্ল্যাঙ্কটন বøুম হয়ে তা পঁচে গিয়ে
৩. মাছের মল বা জৈব অংশের পঁচন
৪. ক্ষার জাতীয় পদার্থের মাত্রাধিক ব্যবহার
৫. অ্যামোনিয়া, নাইট্রেট, নাইট্রাইট গ্যাসজনিত কারণ
৩.ছ। টি ডি এস মিটার
বায়োফ্লক ট্যাংকে ঞ উ ঝ এর মান মাগুর, শিং, পাঙ্গাশ, পাবদা, গুলশা ইত্যাদি মাছের ক্ষেত্রে সর্বনি¤œ ২০০ পিপিএম থেকে পিপিএম রাখা ভালো।কিন্তু বিশেষ বিশেষ মাছের ক্ষেত্রে অর্থ্যাৎ চিংড়ি, কৈ, তেলাপিয়া, রুই, কাতলা ইত্যাদি মাছের ক্ষেত্রে ঞ উ ঝ এর মান ২৫০-৫০০ রাখা বাঞ্ছনীয়। টি ডি এস বাড়ানোর জন্য লবণ প্রয়োগ করতে হবে।আর কমানোর ক্ষেত্রে পানি পরিবর্তন করে কমানো যায়।প্রতি হাজার লিটারে পিপিএম লবণ দিতে হবে।
৩.জ। অ্যামোনিয়া টেস্ট কিটঃ
অ্যামোনিয়া গ্যাস হলো মাছ চাষীদের প্রধান চিন্তার কারণ।এই গ্যাসটি সাধারণত উচ্ছিষ্ট বা অবশিষ্ট খাদ্য পঁচে গিয়ে বা মাছের মল থেকে উৎপন্ন হয়ে থাকে।এই অ্যামোনিয়াকে যেকোন উপায়ে তাড়াতেই গবে। এর সহনীয় মাত্র ১ মিলিগ্রাম/ লিটার এর বেশি থাকলে মাছের বৃদ্দি বাধাগ্রস্ত হবে।
৪। মাছের বেঁচে থাকার জন্য দরকার হলো:
১। পানি যার চঐ থাকতে হবে ৭.৫ থেকে ৮.৫ এর মধ্যে।
২। পানিতে পর্যাপ্ত অক্সিজেন যাকে ডিজরভড অক্সিজেন বলে। পানিতে উঙ (উরংংড়ষাবফ ঙীুমবহ) ৫ মিলিগ্রাম/ লিটার এর বেশী থাকা উচিত।
৩। পর্যাপ্ত খাদ্য প্রয়োজন বেঁচে থাকার জন্য।
উপরোক্ত তিনটি প্যারামিটার নিয়ন্ত্রনে থাকলে মাছ বেঁচে থাকবে। তাতে আপনি পুকুরে মাছ রাখুন বা ট্যাংকে।
আমি ডাঃ শ্রাবণ হাসান সজল
একজন ভেটেরিনারিয়ান,তাই ডিজিটাল বাংলাদেশের প্রাণিসম্পদ সেক্টরের উন্নয়নে ভূমিকা রাখার লক্ষ্যে দেশের শিক্ষিত সমাজকে লাইভস্টক সেক্টরে কাজ করতে উৎসাহিত করার প্রচেষ্টা করছি।সেই লক্ষ্যে ফেসবুক,ইউটিউব এবং ব্লগ সাইটের মাধ্যমে ফার্মারদের নানাবিধ পরামর্শ প্রদান করতে চেষ্টা করি।ইতোমধ্যে আমার ইউটিউব চ্যানেল ১ লক্ষাধিক সাবস্ক্রাইব অর্জন করায় ইউটিউব থেকে চ্যানেলটি ভেরিফাইড হয়েছে।
This is a nice and great post about biofloc. From this post I can know which equipment needs for Biofloc Fish Farming. Thanks Writer.
Thank you. you can advertise your product on my site. if interested then mail me [email protected]