ভ্যাকসিন বা টিকা কি?
ভ্যাকসিন বা টিকা হচ্ছে কোন নির্দিষ্ট রোগের বিরুদ্ধে ওই রোগের জীবাণুর দুর্বল অবস্থায় জীবিত বা মৃত বা তাদের উৎপাদিত দ্রব্য ( এন্টিজেন), যা দেহে প্রবেশ করিয়ে এন্টিবডি তৈরীর মাধ্যমে ওই রোগের বিরুদ্ধে শক্ত প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তোলা যায়।
ভ্যাকসিন কিভাবে কাজ করে?
ভ্যাকসিন বা এন্টিজেন দেহের মধ্যে প্রবেশ করালে কিছু কোষ এন্টিজেন কে সনাক্ত করে এবং কতগুলো প্রক্রিয়ার মাধ্যমে রক্ত রসে ইমিউনোগ্লোবিউলিন নামক প্রোটিন জাতীয় পদার্থ বা এন্টিবডি তৈরি করে। এই এন্টিবডি হচ্ছে রোগ প্রতিরোধক পদার্থ, যা দেহকে নির্দিষ্ট রোগ হতে রক্ষা করে।
ভ্যাকসিন এর প্রকারভেদঃ
ভ্যাকসিন দুই প্রকার-
- জীবন্ত ভ্যাকসিন বা লাইভ ভ্যাকসিন
- ইনঅ্যাক্টিভেটেড ভ্যাকসিন বা কিল্ড ভ্যাকসিন।
জীবন্ত ভ্যাকসিনঃ
বিশেষ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে রোগের জীবাণু কে দুর্বল করে লাইভ ভ্যাকসিন বা জীবন্ত ভ্যাকসিন তৈরি করা হয়। এই ভ্যাকসিন দেহে দ্রুত রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলে।সাধারণত খাবার পানি চোখে বা নাকে ফোটা স্প্রে মুখে ড্রপ এবং কখনো কখনো ইনজেকশনের মাধ্যমে এই ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হয়। তবে চোখে বা নাকে ফোটা এবং ইনজেকশনের মাধ্যমে ভ্যাকসিন প্রয়োগ করাই শ্রেয়।
ইনঅ্যাক্টিভেটেড ভ্যাকসিন বা কিল্ড ভ্যাকসিনঃ
জীবাণু কে বিশেষ প্রক্রিয়ায় মেরে ফেলে এই ভ্যাকসিন প্রস্তুত করা হয়।জীবাণুর রোগ তৈরীর ক্ষমতা নষ্ট করে তার এন্টিজেন গুণাগুণ অক্ষুণ্ন রেখে ইন অ্যাক্টিভেটেড ভ্যাকসিন তৈরি করা হয়। ইন অ্যাক্টিভেটেড ভ্যাকসিন প্রদান এ দেহে উন্নত মানের দীর্ঘস্থায়ী রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয়। সাধারণত ইনজেকশনের মাধ্যমে দেহে ইন অ্যাক্টিভেটেড ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হয়।
আমি ডাঃ শ্রাবণ হাসান সজল
একজন ভেটেরিনারিয়ান,তাই ডিজিটাল বাংলাদেশের প্রাণিসম্পদ সেক্টরের উন্নয়নে ভূমিকা রাখার লক্ষ্যে দেশের শিক্ষিত সমাজকে লাইভস্টক সেক্টরে কাজ করতে উৎসাহিত করার প্রচেষ্টা করছি।সেই লক্ষ্যে ফেসবুক,ইউটিউব এবং ব্লগ সাইটের মাধ্যমে ফার্মারদের নানাবিধ পরামর্শ প্রদান করতে চেষ্টা করি।ইতোমধ্যে আমার ইউটিউব চ্যানেল ১ লক্ষাধিক সাবস্ক্রাইব অর্জন করায় ইউটিউব থেকে চ্যানেলটি ভেরিফাইড হয়েছে।