(১) বাচ্চা পালন ব্যবস্থাপনাঃ
ব্রুডিং (Brooding):
ব্রুডিং শব্দটির অর্থ তাপ দেওয়া। প্রকৃতপক্ষে ব্রুডিং কথাটির অর্থ হলো ১ দিন বয়স থেকে ৬-৮ সপ্তাহ বয়স পর্যন্ত মুরগির বাচ্চাকে সমস্ত প্রতিকূল অবস্থা যেমন; প্রতিকূল আবহাওয়া, বন্যপ্রাণী এবং অন্যান্য সমস্যা থেকে রক্ষা করাকে বুঝায়। যেমনঃ-একদিন বয়সের মুরগির বাচ্চার শরীরের তাপমাত্রা থাকে ১০৩ ডিঃ ফাঃ আর বয়স্ক মুরগির শরীরের স্বাভাবিক প্রাকৃতিক তাপমাত্রা ১০৬ ডিঃ ফাঃ। বাচ্চা অবস্থায় মুরগির বাচ্চা তার শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। ৪ সপ্তাহ বয়সের পর মুরগির তাপ নিয়ন্ত্রণকারী অঙ্গগুলি পরিপূর্ণতা লাভ করে এবং এ সময়ের পর মুরগি তাপ নিয়ন্ত্রণে স্বকীয়তা অর্জন করে।
মুরগির বাচ্চার প্রথম খাদ্যঃ
ডিম হতে সদ্য ফুটন্ত বাচ্চার উদর গহবরে কুসুমটির কিছু অংশ থেকে যায় যা থেকে প্রথম ২-৩ দিন কোন খাদ্য বা পানি গ্রহণ ছাড়াই বাচ্চাগুলি বেঁচে থাকতে পারে। তবে বাচ্চাকে খামারে আনার পর দেরীতে খাদ্য ও পানি প্রদান করলে দৈহিক বৃদ্ধির হার কমে যায় ও বাচ্চা মৃত্যুর হার বেড়ে যেতে পারে। সেজন্য ডিম থেকে বাচ্চা ফোটার পর যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বাচ্চা পরিবহন করে খামারে আনতে হবে এবং বাচ্চাগুলিকে পর্যাপ্ত বিশুদ্ধ পানি পান করতে দিতে হবে। পানি প্রদানের কমপক্ষে ৩ ঘন্টা পর বাচ্চাগুলিকে খাবার দিতে হবে।
প্রাথমিকভাবে বাচ্চাকে প্রদত্ত পানিতে নিম্নলিখিত মাত্রায় প্রয়োজনীয় উপাদানগুলি যোগ করতে হবে।
গ্লুকোজ | : ২৫ গ্রাম/লিটার |
ভিটামিন সি | : ১ গ্রাম/৪ লিটার |
মাল্টি ভিটামিন (ডব্লিউ এস) | : ১ গ্রাম/৫লিটার |
ব্রুডিং এর প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রঃ
০১। ব্রুডার ঘরঃ
ব্রুডিং এর জন্য আলাদা ঘর থাকলে ভালো হয়। ব্রুডিং সাধারণতঃ বড় মোরগ-মুরগির ঘর হইতে কমপক্ষে ১০০ ফুট দূরে পৃথক স্থানে আলাদাভাবে করাই উত্তম। খেয়াল রাখতে হবে, যাতে বাইরের মুক্ত বাতাস ব্রুডার ঘরে ঢুকতে পারে এবং ভিতরের বিষাক্ত গ্যাস সহজে বাইরে যেতে পারে। লেয়ার বা ব্রয়লার মুরগি পালনের ঘরও ব্রুডার ঘর হিসাবে ব্যবহার করা যায়। তবে সেক্ষেত্রে প্রথমে নিম্নের কাজগুলো করতে হবে।
১) বাচ্চা তোলার কমপক্ষে ১ সপ্তাহ আগে ঘরের মঝে পরিষ্কার করে জীবাণু নাশক দ্বারা ভালোভাবে ধুয়ে শুকাতে হবে।
২) সম্ভব হলে সম্পূর্ণ ঘর চট বা পলিথিন দিয়ে ঘিরে ফিউমিগেশন করতে হবে। পটাশিয়াম পার ম্যাঙ্গানেট ও ফরমালিন দ্বারা ফরমালডিহাইড গ্যাস সৃষ্টির মাধ্যমে ফিউমিগেশন করা যায়। প্রতি ১০০ ঘনফুট জায়গার জন্য ১২০ সি.সি. ফরমালিন+৬০ গ্রাম পটাসিয়াম পার ম্যাঙ্গানেট ব্যবহার করা হয়।
৩) সতর্কতাঃ কখনও ফরমালিনের মধ্যে পটাশিয়াম পারম্যাঙ্গানেট ব্যবহার করা উচিত নয় বরং পটাশিয়াম পারম্যাঙ্গানেটের মধ্যে ফরমালিন দিতে হবে।
০২। হোভারঃ
তাপ যাতে উপরের দিকে উঠে না যায় সেজন্য হোভার প্রয়োজন। হোভার টিন, কাঠ বা বাঁকা বাঁশ দ্বারা তৈরী করা যায়। হোভারকে সাধারণতঃ ঝুলিয়ে রাখা হয়। তবে নীচে পা লাগিয়ে দাঁড় করিয়ে রাখা যায়। ৫ ফুট ব্যাস হোভারের নীচে ৫০০টি বাচ্চা রাখা যায়।
০৩। ব্রুডারঃ মুরগির বাচ্চার ঘরে তাপের উৎসকে ব্রুডার বলে। ব্রুডার হিসাবে বৈদ্যুতিক হিটার, বাল্ব, কেরোসিন বাতি, হ্যাজাক ইত্যাদি ব্যবহার করে কৃত্রিম উপায়ে তাপ দেয়া যায়। সাধারণতঃ গ্রীষ্মকালে ১০০ ওয়াটের ২টি ও ৬০ ওয়াটের ১টি বাল্ব আর শীতকালে ২০০ ওয়াটের ২টি ও ১০০ ওয়াটের ২টি বাল্ব প্রতি ৫০০ বাচ্চার জন্য ব্রুডারে ব্যবহার করা যথেষ্ট। বাচ্চা ব্রুডারে ছাড়ার ১০-১২ ঘন্টা পূর্ব থেকে ব্রুডার চালু করে প্রয়োজনীয় তাপ দিতে হবে।
বয়স/দিন | প্রয়োগকৃত তাপমাত্রা ডিগ্রি ফাঃ |
০১-০৭ দিন | ৯৫ ডিগ্রি ফাঃ |
০৮-১৪ দিন | ৯০ ডিগ্রি ফাঃ |
১৫-২১ দিন | ৮৫ ডিগ্রি ফাঃ |
২২-২৮ দিন | ৮০ ডিগ্রি ফাঃ |
২৯-৩৫ দিন | ৭৫ ডিগ্রি ফাঃ |
৩৬-৪২ দিন | ৭০ ডিগ্রি ফাঃ |
০৪। চিকগার্ডঃ
ব্রুডার থেকে ২.৫ থেকে ৩ ফুট দূরত্বে ১.৫ ফুট উঁচু চাটাই বা হার্ডবোর্ডের বা তারের জালের বেষ্টনি তৈরী করা হয়। ফলে বাচ্চা ব্রুডার থেকে দূরে যেতে পারে না। প্রতি ৫০০ বাচ্চার জন্য চিক গার্ডের ব্যাস হবে ১২ ফুট। ব্যাসার্ধ ৬ ফুট।
খাবার পাত্র ও খাবার ব্যবস্থাপনাঃ
১) প্রথম ১-২ দিন কাগজের উপর এবং পরবর্তীতে ১-২ সপ্তাহ ফ্লাট ট্রে ব্যবহার করা যায়।
২) অতঃপর ৩য় সপ্তাহ থেকে হপার বা টিউব ফিডারে খাদ্য সরবরাহ করা যায়।
৩) প্রথম ২ সপ্তাহ ২ ঘন্টা অন্তর অন্তর খাদ্য সরবরাহ করা ভাল।
৪) বাচ্চা প্রথমে ছোট দানা জাতীয় খাবার গ্রহণ করে থাকে এবং এইগুলি সহজে হজমও হয়ে থাকে।
পানির পাত্র ও পানি ব্যবস্থাপনাঃ
১) পানির পাত্র ভালোভাবে পরিষ্কার করে প্রতিদিন বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করতে হবে।
২) নলকূপের পানি সরবরাহ করা অনেক নিরাপদ।
৩) ২ঘন্টা গ্লুকোজের পানি খাওয়ানোর পর যদি প্রয়োজন হয় তবে এন্টিবায়োটিক বা অন্যান্য ঔষধ পানির সাথে মেশানো যেতে পারে।
৪) প্রথম অবস্থায় কখনও ঔষধ ব্যবহার করা উচিৎ নয়। এতে পানি তিতা হয় অর্থাৎ পানির স্বাদ নষ্ট হয়ে যায়। ফলে বাচ্চা পানি গ্রহণ করতে চায় না।
৫) প্রথম অবস্থায় প্রতি ৫০০ বাচ্চার জন্য ১ লিটারের ৬-৮টি ড্রিংকার দিতে হবে। এতে করে সকল বাচ্চা একসঙ্গে পানি খেতে পারে।
৬) চিক ড্রিংকার ৮-১০ দিন রাখতে হবে। এরপর জায়গা বাড়ানোর সাথে সাথে নিপল বা অন্য কোন ড্রিংকার দিতে হবে।
৭) প্রতিটি মুরগির পানি পান করানোর জন্য ২.৫ সেঃ মিঃ জায়গা দিতে হবে।
ঘরের আলো ও আলো ব্যবস্থাপনাঃ
১) বাচ্চার ঘরে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা করতে হবে যাতে বাচ্চা খাবার ও পানির পাত্র দেখতে পারে।
২) দিনের বেলা আলো থাকলে আলাদাভাবে আলো প্রদানের প্রয়োজন নেই। তবে রাতে বৈদ্যুতিক বাল্ব জ্বালিয়ে কৃত্রিম আলো প্রদান করতে হবে।
৩) ব্রুডারে বাচ্চা তোলার ৩ দিন পর হতে রাতে ১-২ ঘন্টা অন্ধকার রাখতে হবে, যাতে বাচ্চাগুলি অন্ধকারের সাথে খাপ খাইয়ে নিতে পারে এবং বিদ্যুৎ না থাকলে অন্ধকারে ভয় না পায়।
স্থান সংকুলানঃ
শীতকালে নিম্ন পরিমাপ অনুযায়ী স্থান সংকুলান করতে হবে।
বয়স/দিন | জায়গা/মুরগি |
১-৩ | ০.২০ বর্গফুট |
৪-৭ | ০.৩৫ বর্গফুট |
৮-১১ | ০.৪৫ বর্গফুট |
১২-১৪ | ০.৫০ বর্গফুট |
১৫-২০ | ০.৬০ বর্গফুট |
২২ দিনের উপরে | ১.০০ বর্গফুট |
গ্রীষ্মকালে নিম্ন পরিমাপ অনুযায়ী স্থান সংকুলান করতে হবে।
বয়স/দিন | জায়গা/মুরগি |
১-৩ | ০.৩০ বর্গফুট |
৪-৭ | ০.৩০ বর্গফুট |
৮-১১ | ০.৬০ বর্গফুট |
১২-১৪ | ০.৮৫ বর্গফুট |
১৫-২০ | ১.৩০ বর্গফুট |
(২) পুলেট মুরগির ব্যবস্থাপনাঃ
নিয়মিত তথ্য সংরক্ষণঃ
মুরগির ৬-১৮ সপ্তাহ বয়স পর্যন্ত সময়কেই গ্রোয়িং পিরিয়ড বা বাড়ন্তকাল হিসাবে বিবেচনা করা হয়। বাড়ন্তকালে মুরগির নিম্নলিখিত তথ্যগুলি নিয়মিত সংরক্ষণ করতে হবে।
১) শারিরীক ওজন
২) খাদ্য গ্রহণের পরিমাণ
৩) পানি গ্রহণের পরিমাণ
৪) আলোর পরিমাণ
৫) টিকাদান
৬) মৃত্যুহার
৭) তাপমাত্রা
৮) রোগের প্রাদুর্ভাব
৯) ঠোঁট কাটা
১০) ফিডের প্রকার (আমিষ ও শক্তির মাত্রা ইত্যাদি)
শারিরীক ওজন ও আনুমানিক খাদ্য গ্রহণ
বয়স | শারীরিক ওজন | আনুমানিক খাদ্য গ্রহণ | |
---|---|---|---|
সপ্তাহ | দিন | গ্রাম | গ্রাম/দিন/মুরগি |
০৬ | ৪২ | ৪৭৫ | ৪৩ |
০৭ | ৪৯ | ৫৭০ | ৪৯ |
০৮ | ৫৬ | ৬৬৫ | ৫৩ |
০৯ | ৬৩ | ৭৬০ | ৫৭ |
১০ | ৭০ | ৮৫০ | ৬১ |
১১ | ৭৭ | ৯৪০ | ৬৫ |
১২ | ৮৪ | ১০৩০ | ৬৯ |
১৩ | ৯১ | ১১২০ | ৭৩ |
১৪ | ৯৮ | ১২১০ | ৭৬ |
১৫ | ১০৫ | ১৩০০ | ৭৯ |
১৬ | ১১২ | ১৩৯০ | ৮২ |
১৭ | ১১৯ | ১৪৭৫ | ৮৫ |
১৮ | ১২৬ | ১৫৬০ | ৮৮ |
পুলেট মুরগি পালনে অবশ্য করনীয় কাজঃ
১) বাড়ন্ত মুরগি পালনের ঘরে যদি আগে মুরগি পালন করা হয় তবে পুরাতন লিটার ও আসবাবপত্রাদি বের করে নিয়ে ঘর সুন্দরভাবে পরিষ্কার করতে হবে।
২) পানিতে জীবাণুনাশক ঔষধ দিয়ে ঘর ভালভাবে ধুয়ে নিতে হবে।
৩) ঘর শুকিয়ে বিছানা হিসাবে লিটার যেমন ধানের তুষ বা শুকনা চালের কুড়া মেঝেতে ছড়িয়ে দিতে হবে।
৪) খাদ্য ও পানির পাত্র ভালভাবে পরিষ্কার ও শোধনের পর সারিবদ্ধভাবে ঘরে বসাতে হবে। বিশুদ্ধ পানি ও সুষম খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে।
৫) ঘরের মেঝেতে আয়তন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় বাড়ন্ত মুরগি পালন করতে হবে।
৬) বাড়ন্তকালে ঘরে কৃত্রিম আলোর প্রয়োজন নেই। শুধুমাত্র দিনের আলোতে পালন করতে হবে। দিনের আলো ব্যতীত রাতে ঘরে আলো জ্বেলে রাখলে শীঘ্র যৌবন আসবে এবং ডিমপাড়া শুরু হবে।
৭) ২০ সপ্তাহ বয়সে ডিম পাড়া শুরু করার প্রকৃত সময়। এর আগে বা পরে ডিমপাড়া শুরু করলে সে মুরগি থেকে বেশী ডিম পাওয়া যায় না এবং ডিমের আকার ভাল হয় না।
(৩) লেয়ার মুরগির ব্যবস্থাপনাঃ
ডিমপাড়া মুরগি বাছাইঃ
পুলেট সমূহকে লেয়ার ঘরে নেয়ার পূর্বে তাদের বাহ্যিক এবং নিম্নলিখিত বৈশিষ্ট্যগুলি দেখে বাছাই করতে হবে।
বৈশিষ্ট | ভালো মুরগি | খারাপ মুরগি |
---|---|---|
শৌর্য-বীর্য | সতেজ, সরল | দুর্বল, ভীরু |
ঝুঁটি | বড়, লাল, উজ্জল, নরম, মসৃন | পাতলা, লম্বা, খসখসে |
ঠোট | মোটা, বাঁকা | হালকা, সরু |
চোখ | বড়, উজ্জল, সজাগ | ছোট , ঝিমানো ও নিদ্রালু |
কানের লতি | বড়, তৈলাক্ত ও নরম | সংকুচিত ও খসখসে |
পালক | ময়লামুক্ত, গোছানো | অপরিস্কার |
চামড়া | পাতলা, নরম ও চর্বিহীন | মোটা বা পুরু, শুকনা, খসখসে |
পেট | বড় ও চর্বিযুক্ত | ছোট , শুকনো, চর্বিমুক্ত |
মল ও মূত্রদ্বার | বড়, পুরু ও ভেজা | ছোট, শুকনো, চর্বিমুক্ত |
বাছাইকৃত মুরগি লেয়ার ঘরে স্থানান্তরঃ
ডিম পাড়া মুরগিকে ঘরে স্থানান্তরের পরে গ্লুকোজ পানি বা ভিটামিন সমৃদ্ধ পানি খেতে দিতে হবে যাতে সহজেই পীড়ন কাটিয়ে উঠতে পারে। সাধারণত ১৭-১৮ সপ্তাহ ডিম পাড়ার জন্য মুরগিকে ডিমপাড়ার ঘরে নিতে হয়।
বাণিজ্যিক লেয়ারের আলোক কর্মসূচীঃ
বয়স/সপ্তাহ | আলোক সময়কাল (ঘন্টা) (প্রাকৃতিক + কৃত্রিম) আলো | আলোর প্রখরতা |
---|---|---|
১-২ সপ্তাহ | ২৪ | ২০-৩০ লাক্স |
৩ | ২৩ | |
৪ | ২২ | |
৫ | ২১ | ১০-২০ লাক্স |
৬ | ২০ | |
৭ | ১৯ | |
৮ | ১৮ | |
৯ | ১৭ | |
১০ | ১৬ | |
১১ | ১৫ | |
১২ | ১৪ | |
১৩ | ১৩ | |
১৪-১৮ | ১২ | |
১৯ | ১৩ | ২০-৩০ লাক্স |
২০ | ১৩.৫ | |
২১ | ১৪ | |
২২ | ১৪.৫ | |
২৩ | ১৫ | |
২৪ | ১৫.৫ | |
২৫-২৭ | ১৬ |
ডিম পাড়ার বাক্সঃ
ডিম পাড়া মুরগিকে ঘরে স্থানান্তরের পরে গ্লুকোজ পানি বা ভিটামিন সমৃদ্ধ পানি খেতে দিতে হবে যাতে সহজেই পীড়ন কাটিয়ে উঠতে পারে। সাধারণত ১৭-১৮ সপ্তাহ ডিম পাড়ার জন্য মুরগিকে ডিমপাড়ার ঘরে নিতে হয়।
১) খাঁচায় পালনের ক্ষেত্রে ডিম পাড়ার বাক্সের প্রয়োজন হয় না।
২) লিটার বা মাচা পদ্ধতিতে পালনের ক্ষেত্রে প্রতি ৪-৫টি মুরগির জন্য একটি ডিম পাড়ার বাক্স বরাদ্দ রাখতে হয়।
৩) ডিম পাড়ার বাক্সের পরিমাপ (১ফুট×১ফুট×১.২ফুট) ঘনফুট হলে চলবে। মুরগির ঘরের অন্ধকার যুক্ত স্থানে যেখানে মুরগির চলাফেরা কম এমন স্থানে ডিম পাড়ার বাসা দিতে হবে এবং পরিচিতির জন্য ডিম পাড়া শুরু করার ২ সপ্তাহ আগে থেকেই ডিম পাড়ার বাক্স দিতে হবে এবং বাক্সে লিটারের তুলনায় নরম ও আরামপ্রদ দ্রব্যাদি দিতে হবে।
খাদ্য ও পানি প্রদানঃ
প্রতিদিন সকালে ও বিকালে খাদ্য ও পানি পরমাণ মতো দিতে হবে। পানি প্রদানের পূর্বে পানির পাত্র ভালভাবে পরিষ্কার করতে হবে।
খাদ্য: ১১৫ থেকে ১২০ গ্রাম/দিন/মুরগি
পানি: ৩০০ থেকে ৪০০ সিসি/দিন/মুরগি
খাদ্য অবশ্যই সুষম ও পানি বিশুদ্ধ হতে হবে।
আমি ডাঃ শ্রাবণ হাসান সজল
একজন ভেটেরিনারিয়ান,তাই ডিজিটাল বাংলাদেশের প্রাণিসম্পদ সেক্টরের উন্নয়নে ভূমিকা রাখার লক্ষ্যে দেশের শিক্ষিত সমাজকে লাইভস্টক সেক্টরে কাজ করতে উৎসাহিত করার প্রচেষ্টা করছি।সেই লক্ষ্যে ফেসবুক,ইউটিউব এবং ব্লগ সাইটের মাধ্যমে ফার্মারদের নানাবিধ পরামর্শ প্রদান করতে চেষ্টা করি।ইতোমধ্যে আমার ইউটিউব চ্যানেল ১ লক্ষাধিক সাবস্ক্রাইব অর্জন করায় ইউটিউব থেকে চ্যানেলটি ভেরিফাইড হয়েছে।