সাইলেজ কিঃ
সবুজ ঘাস প্রক্রিয়াজাত (অক্সিজেনশূন্য) করে গাভীর জন্য তৈরি বিশেষ ধরনের খাবার কে সাইলেজ বলে। যাহা অধিক পুষ্টিমান সমৃদ্ধ।
সবুজ ঘাস থেকে সাইলেজ হওয়ার প্রক্রিয়াঃ
সবুজ ঘাস যখন বায়ুশূন্য (অক্সিজেন শুন্য) অবস্থায় রাখা হয় তখন অক্সিজেনের অনুপস্থিতিতে কাজ করতে পারে এমন ব্যাকটেরিয়া গুলো সবুজ ঘাসের সুগার ফার্মেন্টেশন করে ল্যাকটিক এসিডে পরিবর্তন করে ফলে পিএইচ কমে যেতে শুরু করে। একসময় পিএইচ যখন ৪-৫ এর মধ্যে চলে আসে তখন ব্যাকটেরিয়া গুলো ফার্মেন্টেশন বন্ধ করে দেয়। ৩ থেকে ৪ সপ্তাহ সময় লাগে এই ফার্মেন্টেশনে। তারপর ইহা অনুরূপ অবস্থায় থাকে অক্সিজেন এর উপস্থিতি না পাওয়ার আগ পর্যন্ত।
সবুজ ঘাস সাইলেজ করার নিয়মাবলীঃ
১। আদর্শ সাইলেজ তৈরি করতে হলে অবশ্যই ৬০-৭০% এর কম অথবা বেশি ময়েশ্চার থাকা যাবে না।
২। সম্পুর্নরূপে বায়ুশন্য হতে হবে। গর্ত করে করেন অথবা ড্রামে নিয়েও করতে পারেন অথবা বড় চারকোনা ইটের সিমেন্ট ঢালাই পিট করেও সাইলেজ তৈরি করতে পারেন কিন্তু শর্ত তাহা সম্পুর্নরূপে যেন বায়ুশূন্য হয়। এজন্য আপনাকে শক্ত পলিথিন (কালো পলিথিন হলে ভাল) ব্যবহার করতে হবে।
৩। ছোট ছোট (সবুজ ঘাস) করে কেটে নেওয়া উত্তম; এতে ঘাস গুলো পর্যাপ্ত পরিমানে চাপ দিয়ে সাজিয়ে রাখা যায়।
৪। প্রয়োজনে চিটাগুড় ব্যবহার করতে পারেন, এতে সাইলেজ এর চমৎকার সুঘ্রাণ আসে।
(প্রতি ১০০ কেজি ঘাসে ২.৫ থেকে ৫ কেজি চিটাগুড় ব্যবহার করতে পারেন)
সর্বোপরি খেয়াল রাখবেন যাহাতে পলিথিনের কোন অংশ যেন ছেড়া না থাকে।
যখন সবুজ ঘাস বেশি উৎপাদন হবে সেটি নষ্ট না করে ভবিষ্যতের (বিশেষ করে শীতকাল) কথা বিবেচনা করে আপনি সাইলেজ কতটুকু প্রয়োজন তা নির্ধারন করতে পারবেন। সাইলেজ এর ময়েশ্চার শতকরা ৩৫% থেকে ৪০% থাকায় ইহা ঘাসের তুলনায় কম প্রয়োজন হয়।
(নারিশ ডেইরী ও ক্যাটল ফিডের বস্তার ভিতরে আরও একটা বায়ুরোধী পলিথিন দেওয়া থাকে- খাদ্যের মান অটুট রাখার জন্য)
পরামর্শ ও সহযোগীতায়
ডাঃমোঃ শাহ্-আজম খান
কাস্টমার সার্ভিস অফিসার (ক্যাটল বিভাগ)
নারিশ পোল্ট্রি এন্ড হ্যাচারী লিমিটেড।
আমি ডাঃ শ্রাবণ হাসান সজল
একজন ভেটেরিনারিয়ান,তাই ডিজিটাল বাংলাদেশের প্রাণিসম্পদ সেক্টরের উন্নয়নে ভূমিকা রাখার লক্ষ্যে দেশের শিক্ষিত সমাজকে লাইভস্টক সেক্টরে কাজ করতে উৎসাহিত করার প্রচেষ্টা করছি।সেই লক্ষ্যে ফেসবুক,ইউটিউব এবং ব্লগ সাইটের মাধ্যমে ফার্মারদের নানাবিধ পরামর্শ প্রদান করতে চেষ্টা করি।ইতোমধ্যে আমার ইউটিউব চ্যানেল ১ লক্ষাধিক সাবস্ক্রাইব অর্জন করায় ইউটিউব থেকে চ্যানেলটি ভেরিফাইড হয়েছে।