গ্রামাঞ্চলে হাঁস অর্ধ আবব্ধ পদ্ধতিতে পালন করা হয়। পুকুর, খাল-বিল, নদী ইত্যাদিতে হাঁস চড়ে বেড়ায় এবং এখান থেকেই খাদ্য সংগ্রহ করে। অনেক খামারীগণ হাঁসকে শুধু ধানের কুড়া, চাল, গম এসব খেতে দেয়। সাধারনত বর্ষা মৌসুমে সম্পুরক খাদ্য হিসেবে বাচ্চা প্রতি ৫০ গ্রাম এবং বয়স্ক গুলোকে ৬০ গ্রাম হারে সুষম খাদ্য দিতে হবে। তবে শুস্ক মৌসুমে প্রাকৃতিক খাদ্যের পর্যাপ্ততা কমে যাবার কারনে ঐ সময় খাবার পরিমান (৭০-৮০ গ্রাম) বাড়িয়ে দিতে হয়। খাদ্য ব্যবস্থাপনায় এ ধরনের পরিবর্তন আনলে হাঁসের ডিম উৎপাদন বেড়ে যাবে।খাদ্যে আমিষের পরিমাণ ডিম দেয়া হাঁসের ক্ষেত্রে ১৭-১৮ শতাংশ ও বাচ্চা হাঁসের ক্ষেত্রে ২১ শতাংশ রাখা উচিত।
হাঁসের সুষম খাবারের তালিকাঃ
খাদ্য উপাদান (%) | হাঁসের বাচ্চা (০-৬ সপ্তাহ) | বাড়ন্ত হাঁস (৭-১৯ সপ্তাহ) | ডিম পাড়া হাঁস (২০ সপ্তাহ- তদুর্দ্ধ) |
---|---|---|---|
গম ভাঙ্গা | ৩৬.০ | ৩৭.০ | ৩৭.০ |
ভূট্টা ভাঙ্গা | ১৮.০ | ১৮.০ | ১৬.০ |
চালের কুড়া | ১৮.০ | ১৭.০ | ১৭.০ |
সয়াবিন মিল | ২২.০ | ২২.০ | ২৩.০ |
প্রোটিন কনসেনট্রেট | ২.০ | ২.০ | ২.০ |
ঝিনুক চূর্ন | ২.০ | ২.০ | ৩.৫ |
ডিসিপি | ১.২৫ | ১.২৫ | ০.৭৫ |
ভিটামিন খনিজ মিশ্রিত | ০.২৫ | ০.২৫ | ০.২৫ |
লাইসিন | ০.১০ | ০.১০ | ০.১০ |
মিথিওনিন | ০.১০ | ০.১০ | ০.১০ |
লবন | ০.৩০ | ০.৩০ | ০.৩০ |
মোট | ১০০.০০ | ১০০.০০ | ১০০.০০ |
৮ সপ্তাহের খাঁকি ক্যাম্পবেল জাতের হাঁসের জন্য মাথাপিছু ৪/৫ কেজি সুষম খাদ্য লাগে এবং ২০ সপ্তাহ পর্যন্ত ১২.৫ কেজি। পুর্ণবয়ষ্ক হাঁস গড়ে দিনে ১৩০ থেকে ১৫০ গ্রাম সুষম খাদ্য খায়। খাঁকি ক্যাম্পবেল হাঁসকে সর্বদা সুষম খাদ্য ভিজিয়ে খাওয়াতে হবে। এই ব্যবস্থায় খাবারের অপচয় কম হয়।
আমি ডাঃ শ্রাবণ হাসান সজল
একজন ভেটেরিনারিয়ান,তাই ডিজিটাল বাংলাদেশের প্রাণিসম্পদ সেক্টরের উন্নয়নে ভূমিকা রাখার লক্ষ্যে দেশের শিক্ষিত সমাজকে লাইভস্টক সেক্টরে কাজ করতে উৎসাহিত করার প্রচেষ্টা করছি।সেই লক্ষ্যে ফেসবুক,ইউটিউব এবং ব্লগ সাইটের মাধ্যমে ফার্মারদের নানাবিধ পরামর্শ প্রদান করতে চেষ্টা করি।ইতোমধ্যে আমার ইউটিউব চ্যানেল ১ লক্ষাধিক সাবস্ক্রাইব অর্জন করায় ইউটিউব থেকে চ্যানেলটি ভেরিফাইড হয়েছে।